শীতকাল থেকে গরমকালে দই তৈরি করা সহজ হয় কেন

শীতকাল থেকে গরমকালে দই তৈরি করা সহজ হয় কেন? বাঙালিদের কাছে দই একটি খাবার। কোন অনুষ্ঠানে খাবারের তালিকায় দই থাকবেই। তাছাড়া খাবারের তালিকায় অনেকেই দই রাখেন। এছাড়া অনেক মানুষ রয়েছেন যারা সকালে দই চিড়া খেয়ে থাকেন। আজকের পোস্টটিতে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
শীতকাল থেকে গরমকালে দই তৈরি করা সহজ হয় কেন
দুধ থেকে তৈরি করা হয় দই। আর এই দুধ থেকে দই তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ব্যাকটেরিয়ার। শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকার কারনে ব্যাকটেরিয়া স্থায়ী হবে থাকতে পারে না ফলে ব্যাকটেরিয়া অস্থায়ী বা দই তৈরির আগে নিঃশেষ হয়ে যায়। কিন্তু গরমকালে তাপমাএা দই তৈরির ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়।সেহেতু গরম কালে দই তৈরি করতে কম সময় লাগে ও গরম কালে দই তৈরিতে সময় কম লাগে। শীতকাল থেকে গরমকালে দই তৈরি করা সহজ হয় কেন আশা করি বুজতে পেরেছেন।
দই তৈরির আদর্শ তাপমাত্রা
দই তৈরি করার জন্য বা দই উৎপাদন করার জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হলো ৩৭° সেলসিয়াস থেকে ৪৫° সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা শীতকালে সাধারণত থাকে না সেহেতু গ্রীষ্মকালে এই তাপমাত্রা থাকার কারনে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি পায় ও দ্রুত দই তৈরি হয়ে যায়।
দই এ কোন ব্যাকটেরিয়া থাকে
স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাস ও ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারি ব্যাকটেরিয়া দই তৈরিতে ব্যবহার।
দুধ থেকে দই তৈরির পদ্ধতির নাম কি
গাঁজন হলো দুধ থেকে দই তৈরির পদ্ধতিট নাম।
দই এর উপকারিতা
দই এর উপকারিতা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:
- হজমে উপকার হয়।
- ত্বকের জন্য উপকারী।
- পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে।
- মজবুত হাড় করে।
- রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- দেহের ছত্রাক প্রতিরোধ করে।
- রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শেষ কথা
আশা করি আজ আমরা আপনাকে, শীতকাল থেকে গরমকালে দই তৈরি করা সহজ হয় কেন এ সম্পর্কে ও বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এই পোস্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আরো পড়তে পারেন: সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
(প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের গুগল নিউজ ও ফেসবুক পেজ এ অনুসরণ করুন)