বিড়াল সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বাক্য

বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য আপনি জানতে চান? মূল আলোচনা যাওয়ার আগে বিড়াল সম্পর্কে কিছু ধারণা আমরা অর্জন করতে পারি। শুধুমাত্র আমাদের দেশ না পৃথিবীর যেকোন স্থানেই বিড়াল মানুষের প্রিয় প্রাণী হিসেবে সম্মোধিত হয়ে আসছে। বিড়ালকে গৃহপালিত প্রাণী প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেকে আছেন যারা বিড়ালকে খুব ভালোবাসেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রজাতির রয়েছে। কিন্তু সব বিড়ালের তো মানুষের কাছে স্থান হয় না। মানুষেরা ঘরে বিড়াল পোষ মানানোর চেষ্টা করেন ইদুর এর উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে। পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশে বিড়াল টিকে রয়েছে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী।
বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য বাক্য
- বিড়ালকে একটি গৃহপালিত প্রাণী বলা হয়।
- বিড়াল প্রতদিন ১২ ঘন্টা থেকে ১৬ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে থাকে।
- একটি বিড়াল ১ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোমিটার দৌড়ে পথ পাড়ি দিতে পারে।
- বিড়ালের উচ্চতা সাধারণত ২৩ সে.মি থেকে ২৫ সে.মি হয়ে থাকে।
- বিড়াল অধিকাংশ সময় দিনে ঘুমিয়ে থাকে ও রাতে জেগে থাকে। এজন্য বিড়ালকে নিশাচর প্রাণী বলা হয়।
- একটি মা বিড়াল দুই থেকে পাঁচটি বিড়াল ছানা দিতে পারে।
- পুরুষ বিড়ালকে টমক্যাট বা টম নামে অবহিত করা হয় ও মহিলা বিড়ালকে মলি বলা হয়। তবে এটি অনেক গুলো বিড়ালকে বলা হয় না। কেবল মাএ একটি বিড়ালকে এই নামে ডাকা হয়।
- একটি বিড়াল স্বাভাবিক ভাবে সর্বোচ্চ ১৬ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
- বিড়াল যেকোনো ছিদ্রে তার মাথা ঢুকাতে পারলে সে ঐ ছিদ্র দিয়ে বের হতে পারে।
- বিড়াল পরিস্কার স্থান পছন্দ করে। বিড়ালকে আপনি অপরিষ্কার জায়গায় থাকতে কখনো দেখবেন না।
বিড়াল রাতে স্পষ্ট দেখতে পায়, তাই তারা নিশাচর প্রাণী।
বিড়াল নিজের শরীর পরিষ্কার রাখতে舀 প্রতিদিন অনেক সময় ব্যয় করে।
বিড়ালের কান ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাতে সক্ষম।
বিড়াল একা থাকতে পছন্দ করলেও মানুষের সান্নিধ্যেও আরাম বোধ করে।
বিড়ালের ডাকে অনেক ধরনের অর্থ থাকতে পারে, যেমন ক্ষুধা, দুঃখ বা ভালোবাসা প্রকাশ।
গৃহপালিত বিড়ালের শারীরিক গঠন
গৃহপালিত বিড়ালের শারীরিক গঠন অত্যন্ত নমনীয়, সুশৃঙ্খল ও অভিযোজনক্ষম। এদের শরীর ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে, এবং হালকা-পাতলা হলেও পেশিশক্তি সম্পন্ন হয়। বিড়ালের দেহে মসৃণ লোম থাকে যা বিভিন্ন রঙ ও প্যাটার্নে দেখা যায়। এদের চোখ বড় ও উজ্জ্বল, শ্রবণশক্তি প্রখর এবং লেজ ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চারটি পায়ে নখরযুক্ত থাবা থাকে যা তারা প্রয়োজনে গুটিয়ে রাখতে পারে।
বিড়ালের নমনীয় মেরুদণ্ড এবং শক্তিশালী পেছনের পা তাদের দ্রুত চলাফেরা ও লাফাতে সাহায্য করে। এ ধরনের শারীরিক বৈশিষ্ট্যই গৃহপালিত বিড়ালকে চতুর, দ্রুতগামী এবং আত্মরক্ষায় দক্ষ করে তোলে।
- বিড়ালদের দৈর্ঘ্য ১৯ থেকে ২০ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ১১ থেকে ১২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এদের ওজন দেহের আকৃতি অনুসারে হয়ে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত হয়।
- বিড়ালের শরীরে প্রায় ৩০ টি দাঁত রয়েছে যেগুলো অনেকটা শিকারিদের মতো তীক্ষ্ণ। এরা মাংস খাওয়া প্রজাতি এবং গর্জন দিয়ে থাকে।
- এদের শরীরের লোমগুলো অনেক বড় ও ঝলমলে হয়ে থাকে।
- বিড়াল অনেক সময় সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে এবং পাঁঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়।
- এটি সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী হলেও পরিপ্রেক্ষিত ও আবহাওয়ার কারণে এরা খুব তাড়াতাড়ি পোষ মানে এবং দেখতে সুন্দর।
- বিড়ালের শরীর সাধারণত লম্বা ধরনের হয়ে থাকে এবং দ্বি নিদিষ্ট ভাষায় কথোপকথন করে থাকে।
- এরা সাধারণত খাদ্য হিসেবে ছোট মাছ এবং দুধ খায়।
- এরা গৃহস্থালির কোনো ক্ষতি করে না, বরং এরা একটি শিকারি প্রজাতি। তবে এরা মাঝে মাঝে ইঁদুর সহ অন্যান্য প্রাণী শিকার করে থাকে।
- এদের শ্রবণ শক্তি অনেক প্রবল। যার কারণে এরা অনেক দূর থেকে শিকারির গন্ধ পেয়ে যেতে পারে।
- বিড়াল বিভিন্ন ধরনের রঙের হয়ে থাকে যেমন সাদা, কালো এবং মিশ্র রঙের হয়ে থাকে।
- বিড়াল একস্থান থেকে অন্য স্থানে বাঁচা দিতে পারে যা সাধারণত অন্য প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায় না।
- এদের অনুভূতি প্রবল, যার কারণে এরা মানুষের সহচর হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে পছন্দ করে।
- এদের নখগুলো ধারালো হওয়ার কারণে দোয়াল এবং গাছের অনেক ক্ষতি করতে পারে।
বন্য বিড়ালের শারীরিক গঠন
বন্য বিড়ালের শারীরিক গঠন তাদের টিকে থাকার ক্ষমতা এবং শিকারি স্বভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এদের শরীর শক্তিশালী, নমনীয় এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন, যা জঙ্গলে শিকার করা এবং আত্মরক্ষার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দাঁত ও নখ থাকে তীক্ষ্ণ ও ধারালো, চোখের দৃষ্টিশক্তি ও কানের শ্রবণশক্তিও অসাধারণ।
প্রকৃতির কঠিন পরিবেশে টিকে থাকার জন্য বন্য বিড়ালের শারীরিক গঠন একে করেছে বিশেষভাবে সক্ষম ও প্রতিকূল পরিবেশের উপযোগী।
- বন্য বিড়াল গৃহপালিত বিড়ালের থেকে তিন থেকে চার ইঞ্চি বা তার অধিক উচ্চতায় বড় হয়ে থাকে এবং দৈর্ঘ্য দিক থেকেও বড় হয়।
- এরা শিকার করে খাবার সংগ্রহ করে। ইঁদুর, খাসখসিয়ে এবং ফসলের জমি সহ হাঁস মুরগি শিকার করে।
- এদের ওজন গৃহপালিত বিড়ালের থেকে বেশি হয় এবং এরা খুব হিসেবী শিকারি হয়ে থাকে।
- এদের দৃষ্টি শক্তি এবং শ্রবণশক্তি প্রবল হওয়ার কারণে, এরা অতি সহজেই শিকার কে পাকড়াও করতে পারে।
- বন্য বিড়ালরা খুবই চতুর হয় আর এর কারণেই তারা জঙ্গলের রাজ করতে পারে এবং তারা তাদের অধিকাংশ সময় বিশ্রাম করে।
- তারা গৃহপালিত বিড়ালের থেকে অনেক দূর পর্যন্ত দৌড়াতে ও গাছে উঠতে পারে। যার কারণে তাদের শিকার রফ খুব সহজেই শিকারে পরিণত করতে পারে।
- এদেরকে দিনে আলোতে কম দেখা যায়। কারণ এরা রাতে আঁধারে থাকতে বেশি পছন্দ এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
- জঙ্গলে বিড়ালরা একাধিক বাচ্চা প্রসব করতে পারে।
- এরা সাধারণত ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
(১) একটি মা বিড়াল একসাথে কয়টি ছানা দিতে পারে?
উওর: একটি মা বিড়াল দুই থেকে পাঁচটি বিড়াল ছানা দিতে পারে।
(২) একটি বিড়াল ঘন্টায় কত কিলোমিটার দৌড়াতে পারে?
উওর: একটি বিড়াল ১ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোমিটার দৌড়ে পথ পাড়ি দিতে পারে।
(৩) কত বছর হলে বিড়ালকে বয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
উওর: ১০ বছর থেকে ১২ বছর
উপসংহার
বিড়াল অতন্ত্য উপকারি একটি প্রাণী। বিড়াল যেমন ঘুমকাতুরে প্রাণী তেমনি বিড়াল রাতের বেলা গৃহস্থালিতে ইদুর ও পোকামাকড় থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য বাক্য ছাড়াও যদি আপনি আরো তথ্য জানতে চান তাহলে আপনি কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।