পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ।। সবচেয়ে সহজ ও তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি
পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ১
তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর দিয়ে তৈরি সেতুর নাম পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম একটি সেতু। পদ্মা সেতু একই সঙ্গে সড়ক ও রেল সেতু। পদ্মা সেতু দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে উওর অঞ্চলের যোগাযোগ আরো উন্নত করেছে। পদ্মা সেতুর জন্য মিলিত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের সাথে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা। পদ্মা সেতু ছিল দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের কাছে স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে ও এই পদ্মা সেতু পূর্ণতা লাব করে ২০২২ সালের ২৩ জুন তারিখে। ২০২২ সালের ২৫ জুন তারিখে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ২০২২ সালের ২৬ জুন তারিখ থেকে পদ্মা সেতু চালু হয়। পদ্মা সেতুুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হলো ৬.১৫ কিলোমিটার ও ১৮.১৮ মিটার। পদ্মা সেতুতে রয়েছে ৪২ পিলার ও ৪১টি স্প্যান। পানি থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট। পদ্মা সেতু তৈরি ও চালু হওয়ায় ঢাকা জেলার সাথে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ১৯টি জেলা সংযুক্ত করেছে। পদ্মা সেতু দেশের জাতীয় আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পদ্মা সেতু কেবল একটি স্বপ্ন নয় বরং পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার। ( শব্দ সংখ্যা: ১৬১)
পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম একটি সেতু। পদ্মা সেতু বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতু। এটি আয়তনের দিক থেকে যদি বলা হয় পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.১৮ মিটার। পদ্মা নদীর থেকে তথা পদ্মা নদীর পানির অংশ থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট উপরে। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হলেও তা পূর্নতা পায় তথা সম্পূর্ণভাবে দৃশ্যমান হয় ২০২২ সালের ২৩ জুন তারিখে। ২০২২ সালের ২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ২৬ জুন ২০২২ তারিখে পদ্মা সেতু চালু হয়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ১৯টি জেলা সংযুক্ত হয় ঢাকার সাথে। পদ্মা সেতু যেমন এই সকল জেলার সাথে সংযুক্ত হয়ে এই সকল জেলা উন্নত করেছে ও তেমনি দক্ষিণ অঞ্চল থেকে ঢাকায় চলাচল করা মানুষের সময় বাঁচিয়েছে। ৪২টি পিলার ৪১টি স্প্যান ব্যবহার করা হয়েছে পদ্মা সেতুতে৷ পদ্মা তৈরি হয়েছে কংক্রিট ও স্টিল এর সমন্বয়ে। পদ্মা সেতু নকশা করেছেন ও নির্মান করেছে এইসিওএম ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ। বর্তমানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে পদ্মা সেতু চালু হবার পর থেকে দেশের জাতীয় আয় তথা জিডিপিতে পদ্মা সেতু ১.২% অবদান রাখবে। পদ্মা সেতু তৈরিতে বা নির্মাণে বাংলাদেশি টাকায় খরচ হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। পদ্মা সেতু ১২৮ মিটার অর্থাৎ ৪২০ ফুটগভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু,যা প্রতিটি বাঙালির কাছে গর্ব। পদ্মা সেতু প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের স্বপ্ন ও ভালোবাসা। ( শব্দ সংখ্যা: ২২২)
শেষ কথা
আশা করি আমরা আপনাকে, পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। আপনি এই অনুচ্ছেদ লিখে পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন।
আরো পড়তে পারেন:
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ অনুসরণ করুন।