Xiaomi 13 Lite এর দাম বাংলাদেশে
বর্তমানের গরিবের আইফোন বললে মোবাইলের কথা বললে যে মোবাইলের কথা সবার আগে মনে পড়ে সে ফোনটি হচ্ছে Xiaomi 13 Lite। দেখতে কিন্তু এবার ঠিক আইফোনের মতো লাগছে Xiaomi 13 Lite ফোনটি। অসাধারণ গেমিং পারফরম্যান্স ও তার ডিজাইন এর জন্য এই মোবাইলটিকে এই বাজেটের অন্য সকল মোবাইল থেকে বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছে।
Xiaomi 13 Lite এর দাম বাংলাদেশে
বর্তমানে Xiaomi 13 Lite এর দাম বাংলাদেশে ৮/২৫৬ জিবি ভ্যারিয়্যান্টের দাম মাএ ৪৯,৯৯৯ টাকা। বর্তমানে মোবাইলটি আপনি দেশের যে কোন Xiaomi এর অফিসিয়াল শোরুম গুলোতে ও কিছু ছোট, বড় দোকানে আপনি এই ফোনটি এভেইলেবল পাবেন। ৩ মার্চ এ ২০২৩ সালে এই ফোনটি অফিসিয়াল ভাবে মোবাইল বাজারে আসে ও মোবাইলটি বর্তমানে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে।
Performance
যদি মোবাইলটি পারফরমেন্সের কথা বলা হয় তাহলে এক কথায় বলবো এই মোবাইলটির পারফরম্যান্স এক কথায় অসাধারণ। এই মোবাইলটির গেমিং পারফরম্যান্স বেশ ভালো । মোবাইলটিতে চিপসেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm SM7450-AB Snapdragon 7 Gen 1 এর 4 ন্যানোমিটার চিপসেট। Octa core, up to 2.4 GHz এর CPU রয়েছে। GPU হিসেবে পাচ্ছেন Adreno 644। এই মোবাইলটির AnTuTu Score 534143। ৮ জিবি RAM থাকার কারনে গেমিং পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে আরও বেশি ভালো ফলাফল করছে। আমরা বলব এই মোবাইলটি গেমিং এর জন্য সেরা একটি স্মার্টফোন ও এর পারফরম্যান্স খুব ভালো।
Camera
হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা আগে আপনাকে বলব যে এই ফোনটির সেলফি বা সামনের ক্যামেরা সম্পর্কে। এই মোবাইলটি সামনে অথবা সেলফি ক্যামেরা হিসেবে থাকতে থাকছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ। আর এই ফোনটি ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ আপনি দেখলে মনে করবেন যে এটা একটি আইফোন। তবে ক্যামেরাটির ডিজাইন এই ভাবে ডিজাইন করা হলেও এই আইফোনের মত ডিজাইন অংশটির বাড়তি কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না সম্ভব। তবে কিন্তু দেখতে কিন্তু অসাধারণ লাগছে ফোনটির এই আকর্ষণীয় ডিজাইনে। ও হ্যাঁ বলা হয়নি যে, আপনি সামনের ক্যামেরায় ডুয়েল ক্যামেরা সেটাপ পাচ্ছেন, ৩২+৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আর এই ক্যামেরায় অসাধারণ কিছু ফিচার রয়েছে। সামনের ক্যামেরা দিয়ে আপনি Full HD (1080p@30/60fps) ভিডিও ধারণ করতে পারবেন।
এবার পেছনের ক্যামেরা সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক, পিছনের ক্যামেরাটা বেশ আকর্ষণীয় ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। আপনি পিছনের অংশে পাচ্ছেন ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যা যথাক্রমে ৫০+৮+২ মেগাপিক্সেল। আর এই ক্যামেরাটির অসাধারণ কিছু ফিচার রয়েছে। আর তো বলাই হয়নি যে আপনি পিছনের ক্যামেরা দিয়ে 4K@30fps ভিডিও ধারণ করতে পারবেন।
এই মোবাইলটির ক্যামেরা দিক দিয়ে বেশ ভালো কোয়ালিটির ছবি পাওয়া যায়। আর যারা ফটোগ্রাফার তাদের জন্য এই মোবাইলটি বেস্ট একটি ফোন হবে।
Display
যদি ফোনটি ডিসপ্লে কথা বলা হয় তাহলে আপনি একটি বড় ডিসপ্লে এই ফোনটি থেকে পেয়ে যাচ্ছেন। ৬.৫৫ ইঞ্চি এই মোবাইলটির মোবাইলটির ডিসপ্লের আকার। আর এই মোবাইলটিতে AMOLED ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। যা ফোনটি কেয়ার আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই মোবাইলটির ডিসপ্লের রেজুলেশন হল Full HD+ 1080 x 2400 pixels (402 ppi)। আর তো বলাই হয়নি যে মোবাইলটি ডিসপ্লে প্রোটেকশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Corning Gorilla Glass 5। 120Hz রিফ্রেশ রেট আপনি এই ফোনের ডিসপ্লে তে পাবেন ও ও ব্লাইটনেস হিসেবে আপনি 1000 nits পাবেন।
Body
যদি বলা হয় মোবাইলটি ভারী না হালকা। তাহলে আমরা আপনাকে এক কথায় বলব যে এই মোবাইলটি হালকা আর মোবাইলটির ওজন মাত্র ১৭১ গ্রাম। মোবাইলটির Style হলো Double Punch-hole। আর মোবাইলটির Material হিসাবে থাকছে Gorilla Glass 5 front, glass back, plastic frame। 159.2 x 72.7 x 7.2 Dimensions রয়েছে ফোনটির। মোবাইলটি তিনটি রং এ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, Black, Lite Blue ও Lite Pink।
Network ও Connectivity
Xiaomi 13 Lite মোবাইলটি মূলত একটি 5g মোবাইল। তবে আপনি যদি চান তাহলে আপনার প্রয়োজন এর খাতিরে আপনি 4G,3G,2G করে ব্যবহার করে ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইলটির নেটওয়ার্ক ও স্পিড বেশ ভালো। মোবাইলটিতে NFC,Bluetooth,WLAN,Wi-Fi,Infrared port,GPS ও ইত্যাদি সুবিধা আছে। মোবাইলটিতে USB type-C রয়েছে।
Sensors
এই মোবাইলটিতে প্রয়োজনীয় সকল সেন্সর রয়েছে।
Memory
ROM বিবেচনায় মোবাইলটিতে আপনি দুইটি ভারিয়্যান্টের ROM পাবেন 128GB/256GB। আর র্যাম আপনি এই দুইটি রমের সাথে ৮ জিবি করে পাবেন । মোবাইলটিতে এক্সট্রা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার কোন সুবিধা নেই।
Sound
3.5 mm Audio Jack আপনি এই ফোনটিতে পাবেন না। তবে এই ফোনটির সাউন্ড কোয়ালিটি বেশ ভালো ও আপনি লাউডস্পিকার এ খুব ভালো শুনতে পারবেন সাউন্ড।
Battery
যদি ব্যাটারি কথা বলা হয় তবে আমরা আশা করেছিলাম যে এই বাজেটে আমরা ভালো ক্যাপাসিটি এর একটি ব্যাটারি পাবো কিন্তু আমরা এই ফোনটিতে ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি পাচ্ছি। অন্তত ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি থাকা উচিত ছিল এই ফোনটিতে।
ফোনটি ৬৭ ওয়ার্ডের চার্জার দিয়ে চার্জ করা যাবে ও ফোনটি মূলত ৪০ মিনিটে চার্জ হয়ে যাবে।
Fingerprint
মোবাইলটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপনার বেশ পছন্দের মনে হবে। কারন এই ফোনটিতে ব্যবহার করেছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট হিসেবে Under Display, Optical ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
ফোনটি কাদের জন্য ভালো হবে
মোট কথা বলতে গেলে এই ফোনটি আমার ডিজাইনের দিক থেকে খুব ভালো লেগেছে। ফোনটি ব্যবহারের আইফোন ব্যবহার ফিল আসে। আর মোবাইলটির অসাধারণ গেমিং পারফরম্যান্স ও দারুন কোয়ালিটির ছবি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। যার মত হেব্বি গেম করে খেলে থাকেন ও ফটোগ্রাফি করে থাকে তাদের জন্য এই ফোনটি বেস্ট একটি ফোন হবে।
আরো পড়তে পারেন: Oppo A38 এর দাম বাংলাদেশে (প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনে আপডেট পেতে আমাদের গুগল নিউজ ও ফেসবুক পেজ এ অনুসরণ করুন)